তুচ্ছ ঘটনায় বাবা-মেয়েকে বেঁধে নি’র্যা’তনের অ’ভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনিতে লাউগাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে হাত-পা বেঁধে বেদম মা’রধর করার অ’ভিযোগ উঠেছে। বাবাকে বাঁ’চাতে এগিয়ে এসে রক্ষা পায়নি নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েও। গুরুতর আ’হতাবস্থায় তাদের দুজনকে হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ মা’র্চ) দুপুরে কালকিনি উপজে’লার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা’র পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া এলাকার ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আশরাফ আলী শিকদার বাড়ির উঠানে সম্প্রতি লাউগাছ লাগান। এ নিয়ে প্রতিবেশী বাচ্চু ফকিরের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দুপুরে আশরাফ আলী শিকদার লাউগাছের মা’থা কাটতে গেলে বাচ্চুর সঙ্গে প্রথমে কথাকা’টাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাচ্চু ও তার লোকজন বৃদ্ধের হাত-পা বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে তাকে বেদম মা’রধর করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ছুটে এসে তার বাবাকে বাঁ’চানোর চেষ্টা করলে অ’ভিযু’ক্তদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সে-ও। এ সময় বাবা ও মেয়েকে বেঁধে মা’রধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে তাদের উ’দ্ধা’র করে পু’লিশ। স্বজনদের সহযোগিতায় ভর্তি করা হয় কালকিনি উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
নি’র্যা’তনের স্বীকার ওই বৃদ্ধ বলেন, ‘ঘটনার পর অ’সুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিষয়টি অন্য খাতে নিতে প্রধান অ’ভিযু’ক্ত বাচ্চুও কালকিনি উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। আমা’র ও আমা’র মেয়ের ওপর হা’ম’লার বিচার চাই।’
বৃদ্ধর মে’য়ে খাঞ্জা’পুর মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে জানায়, তার বাবাকে প্রথমে রশি দিয়ে বেঁধে মা’রধর করে। তাকে বাঁ’চাতে এগিয়ে এলে তাকেও মা’রধর করে। এ সময় আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেনি।
এদিকে বৃদ্ধকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলার কথা স্বীকার করলেও নি’র্যা’তনের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রধান অ’ভিযু’ক্ত বাচ্চু ফকিরের স্ত্রী’ ঝুমুর বেগম। তিনি বলেন, ‘বাবার বয়সী বৃদ্ধকে আম’রা মা’রধর করতে যাব কেন? তিনি উল্টো আমাদের ওপর প্রথমে বঁটি দিয়ে আক্রমণ চালান। তার মা’থায় একটু সমস্যা রয়েছে। যদি আম’রা কেউ তাকে ও তার মেয়েকে মা’রধর করি, তাহলে পু’লিশ ত’দ’ন্ত করে আমাদের বিচার করুক।’
মাদারীপুরের কালকিনি থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘এ ঘটনায় অ’ভিযোগ পেলে মা’ম’লা রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, পারিবারিক ঘটনা নিয়ে যে ঝামেলা হয়েছে, পু’লিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মীমাংসা করে দিয়েছে। পরে আর কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, জানা নেই।’