‘মাঝে মাঝে মনে হয় মন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় দিলেই বাঁচি’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যেটা ইতিবাচক, সেটায় প্রশংসা না পেলে, এ মন্ত্রিত্ব করি, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, ভালোই লাগে না আমা’র এ মন্ত্রিত্ব। বিদায় করে দিলে আমি বেঁচে যাই।
সোমবার (১৪) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন খবরের কাগজে একটি নিউজ আসছে, মানুষ টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না। মানুষ ট্রাকের পেছনে দৌড়াচ্ছে, এ সংবাদও প্রকাশ করছেন, ভালো কথা। পাশে আরেকটি সংবাদ দেন যে এ কয়েকজন মানুষ হাসিমনে পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।একটা পেপারে অ’তন্ত এ সংবাদ দেন যে, ২৫০ মানুষের মধ্যে ২২৫ জন পণ্য পেয়েছেন।
টিসিবির ট্রাকসেল থেকে মানুষের বারবার পণ্য কেনা থেকে বিরত রাখতে সরকার নানা চেষ্টা করছে, এ কথা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কী প্রক্রিয়াতে গেলে একজন মানুষ বারবার পণ্য কিনবে না। যেমন- ভোট দেওয়ার সময় যেমন মানুষের হাতে কালি দিয়ে দেওয়া হয়। অথবা কার্ড দিয়ে দেওয়া যায় কি না। অথবা পুরো তালিকা আগে থেকেই দিয়ে দেওয়া হলো। রাতারাতি তো সম্ভব না, তবে আম’রা খুব চেষ্টা করছি এটি এড়িয়ে যাওয়ার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা তো বিবেকের মানুষ। সংবাদপত্র তো বিবেকের সঙ্গে আপস করে না। যেটা সত্য, তাই তুলে ধরে। খা’রা’প যেটি, তার বি’রু’দ্ধে আম’রা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। চেষ্টা করব। কিন্তু যেটা ইতিবাচক, সেটায় প্রশংসা না পেলে, এ মন্ত্রিত্ব করি, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, ভালোই লাগে না আমা’র এ মন্ত্রিত্ব। বিদায় করে দিলে আমি আরও বেঁচে যাই।
এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কা’মনা করে বলেন, সবসময় আমি দেখি, ১০টা ভালো কথা বলার মধ্যে একটি খালি বললাম ভালো লাগছে না। ওটাই আপনারা সংবাদ করেন। আপনার দয়া করে এমন করবেন না। আমি অ’ত প্যাঁচের লোক না। আমি খুব সিম্পল মানুষ। যা সমস্যা তা আপনাদের সামনে তুলে ধরি।
এর আগে মন্ত্রিসভা’র বৈঠকে আম’দানি পর্যায়ে সব ভোগ্যপণ্যের সর্বনিম্ন কর ধার্য করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভা’র্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন।