বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুখে ওয়াজ-মাহফিলের পোস্টার!
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম’দিনে তারই প্রতিকৃতির মুখে চরমোনাই পীরের ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার সাঁটানোর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাই’রাল হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আ’ট’ক করেছে পু’লিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ মা’র্চ) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজে’লা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুখটি পোস্টার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। রাতে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। তবে আয়োজকরা এ ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী ২৬ মা’র্চ তাড়াশ উপজে’লা ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে এক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ওই মাহফিলে প্রধান বক্তা চরমোনাই পীর মুফতি মোহাম্ম’দ রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (১৭ মা’র্চ) ওই মাহফিলের পোস্টার লাগানো হচ্ছে উপজে’লার বিভিন্ন স্থানে। কে বা কারা ওই মাহফিলের একটি পোস্টার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের মুখে সাঁটিয়ে দেয়। বিষয়টি আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ সকলের নজরে এলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজে’লা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বাংলানিউজকে বলেন, ই’স’লা’মী আ’ন্দোলন দলটাই আওয়ামীলীগ এন্ট্রি। তাদের অ’তি উৎসাহী কিছু ছে’লেপেলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পু’লিশ একজনকে আ’ট’ক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল হোতাদের সন্ধান পাওয়া যাবে।
তাড়াশ থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) ফজলে আশিক বলেন, এ ঘটনায় জ’ড়ি’ত স’ন্দেহে রেজাউল করিম নামে স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আ’ট’ক করা হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ওই ওয়াজ মাহফিলের আয়োজক মওলানা আবুল কাশেম বলেন, দায়িত্বশীলরা পোস্টাররা লাগায় না। মাদ্রাসার ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা পোস্টার লাগায়। তবে তারাও এ ধরণের কাজ করবে না। তাদের কাছ থেকে অনেকেই পোস্টার চেয়ে নেয় বাড়িতে লাগানোর জন্য। হতে পারে তাদের মধ্যেই কেউ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বঙ্গবন্ধুর মুখে এই পোস্টার লাগিয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।