শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে মাউশির নতুন আদেশ
সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন শিক্ষার কার্যকর একাডেমিক সুপারভিশন এবং মনিটরিং কার্যক্রম জো’রদার করা। আর এই লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
সোমবার (২১ সার্চ) মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।নির্দেশনায় বলা হয়, অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা অফিসে কর্ম’রত কর্মক’র্তারা নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করে নির্ধারিত ছকে মনিটরিং প্রতিবেদন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং, মাউশি অধিদফতরে পাঠিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিয়মিত ও কার্যকর একাডেমি সুপারভিশন এবং মনিটরিং নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মক’র্তাদের ২০২২ সাল থেকে ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে বার্ষিক পরিদর্শন ক্যালেন্ডার ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
এ ক্ষেত্রে যেসব নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে—
১. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক প্রণীত আ’ই’এ’সএএস-২০১৯-এর প্রতিবেদনের আলোকে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অ, ই, ঈ, উ এবং ই ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে (তালিকা সংযু’ক্ত)।
আরও পড়ুন: রুয়েটে চাকরি পেলেন উপাচার্যের বহু আত্মীয়, ত’দ’ন্ত করবে সংসদীয় কমিটি
পাঁচটি ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানগুলোই যেন বছরব্যাপী প্রয়োজন মাফিক পরিদর্শনের আওতাভুক্ত হয় এ উদ্দেশ্যে সব ক্যাটাগরির বিদ্যালয় মাঠ পর্যায়ের কর্মক’র্তাদের বিদ্যালয় মনিটরিং ও একাডেমিক সুপারভিশনের বার্ষিক ফ্রিকোয়েন্সিগুলো যেভাবে অনুসরণ করতে হবে—
ক্যাটাগরি-এ প্রতি মাসে একবার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা—৪ টি। ক্যাটাগরি-বি প্রতি ২ মাসে একবার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা—৬ টি। ক্যাটাগরি-সি প্রতি ৪৫ দিনে (দেড় মাসে) একবার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা—৮টি এবং ক্যাটাগরি-ডি/ই প্রতি মাসে একবার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা—১২টি।
২. সব জে’লা শিক্ষা কর্মক’র্তা তার জে’লার প্রত্যেক উপজে’লা বা থা’না মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মক’র্তা ও অন্য পরিদর্শনকারী কর্মক’র্তাদের সমন্বয়ে আগামী ৩০ মা’র্চের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা করবেন, তারা জে’লার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে নির্মিত ক্লাস্টার ভিত্তিক সব কর্মক’র্তার (জে’লা শিক্ষা কর্মক’র্তা, সহকারী জে’লা শিক্ষা কর্মক’র্তা, সহকারী পরিদর্শক, থা’না বা উপজে’লা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মক’র্তা, সহকারী থা’না বা উপজে’লা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মক’র্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার) মধ্যে বণ্টন করবেন এবং এবং ডিএমএস অ্যাপ বা ড্যাশবোর্ডে ইনপুট দেবেন। পরিদর্শনকারী কর্মক’র্তার স্বল্পতা সা’পেক্ষে জে’লা শিক্ষা কর্মক’র্তা প্রয়োজনবোধে গবেষণা কর্মক’র্তাকে তার নির্ধারিত দায়িত্ব পালন সা’পেক্ষে পরিদর্শনের দায়িত্ব দিতে পারবেন। ওই সমন্বয় সভায় পরিচালক (আঞ্চলিক) প্রধান অ’তিথি এবং উপপরিচালক (মাধ্যমিক) বিশেষ অ’তিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
৩. সব পরিদর্শনকারী কর্মক’র্তা মাউশি ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজ ব্যবহৃত আইডি এবং সরবরাহকৃত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে সংযু’ক্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী বার্ষিক পরিদর্শন ছক পূরণ করবেন।
৪. প্রত্যেক জে’লা এবং উপজে’লা বা থা’না মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মক’র্তারা মাসে ন্যূনতম ৫টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।
৫. ক্যাটাগরিভুক্ত বিদ্যালয়ের বাইরে কোনো বিদ্যালয় থাকলে তা ক্লাস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে মন্তব্য কলামে উল্লেখ করতে হবে।