টিসিবির পণ্য পেতে ভোগান্তির শেষ নেই
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য পেতে পদে পদে ভোগান্তি। সকাল থেকে অ’পেক্ষা করে পণ্য পেতে দুপুর গড়িয়ে কখনো কখনো হয় রাত। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নানা অব্যবস্থাপনায় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। অথচ দারিদ্র্য বিমোচনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এমন উদ্যোগ।
নিত্যপণ্যের দামে কুলিয়ে উঠতে না পারা নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে এক কোটি কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে স্বল্পমূল্যের পণ্য। তবে সে পণ্য পেতে পদে পদে ভোগান্তি। সকাল থেকে লাইনে টিসিবির ট্রাকের জন্য অ’পেক্ষা। দেখা মেলে কখনো দুপুর, কখনো রাতে।
ট্রাক এলেও লাইনে দাঁড়ানোর যু’দ্ধ। অনেককে ফিরতে হয় খালি হাতে। অনিয়মের অ’ভিযোগও যেন নিত্যদিনের।
ক্রেতারা অ’ভিযোগ জানান, রাতে গাড়ি এলে পণ্য কিনতে রাত ১১-১২টা বেজে যায়। না’রীদের জন্য তখন লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে এ বছর টিসিবি কার্যক্রম পরিচালনা করতেই সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে হাজার কোটি টাকা। সামাজিক সুরক্ষায় সরকারের এমন ১২৩ রকমের কার্যক্রম চলে সারা বছর। সমীক্ষা বলছে, এসব কার্যক্রম সঠিক বাস্তবায়ন করা গেলে দরিদ্রের হার কমবে ১২ শতাংশ। অথচ মিলছে না পুরোপুরি সুফল।
অর্থনীতিবিদ ড. এম আবু ইউসুফ বলেন, ‘নিঃস’ন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। তবে মনিটরিং ব্যবস্থা জো’রদার না করলে পণ্য সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। এতে যে উদ্দেশ্যে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা ব্যাহত হবে।’
চলতি অর্থবছরে ক’রো’নাকালীন সংকট মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।