আ’ঘাত হানল ‘অশনি’, ভা’রি বৃষ্টিপাতের শ’ঙ্কা
ভা’রতের অন্ধ্রপ্রদেশে আ’ঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। বুধবার মধ্যরাতে রাজ্যটির উপকূলীয় অঞ্চলে আ’ঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঊড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে ভা’রি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।
ভা’রতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চল মাছিলিপটনম ও নার্সা’পুরাম এলাকায় আ’ঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আগেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ায় খুব একটি ক্ষতি হয়নি উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে।
অন্ধ্রপ্রদেশের জাতীয় দু’র্যোগ সংস্থা জানায়, ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে উপকূলে আছড়ে পড়ে অশনি। এর পর শুরু হয় ভা’রি বৃষ্টিপাত। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বৃহস্পতিবারও মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জে’লেদেরও সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ভা’রতের আবহাওয়া দপ্তর জানায়, অশনির প্রভাবে ঊড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বড় ধরনের ক্ষতির আশ’ঙ্কা না থাকলেও অনেক অঞ্চলে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
এদিকে অশনির কারণে পশ্চিবঙ্গ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুর ফ্লাইটেও দেখা দেয় বিপর্যয়। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভা’রতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের এত পরিমাণ জলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে যে আগামী রবিবার পর্যন্ত ভেসে যাবে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জে’লা। কবে, কোথায় ভা’রি থেকে অ’তিভা’রি বৃষ্টি হতে পারে।