‘গণকমিশনের শ্বেতপত্র সত্যের অ’পলাপ’
মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ত’দ’ন্তে গণকমিশন প্রকাশিত ২ খণ্ডের শ্বেতপত্রটিকে ‘ভুলে ভরা’ ও ‘সত্যের অ’পলাপ’ বলে মন্তব্য করেছে শোলাকিয়া ঈদগাহের ই’মাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা।’
বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ৫ সদস্যের একটি আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই শ্বেতপত্রটি নিরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা। এতে তারা দেখতে পেয়েছেন, গত ২ দশকের সন্ত্রাস ও জ’ঙ্গীবাদ বিরোধি বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমেই প্রায় ৯০% তথ্য এখানে সংকলিত করা হয়েছে; এবং এক্ষেত্রে চূড়ান্ত অসততা ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে এসব পুরাতন তথ্য যাচাই, সম্পাদনা বা হালনাগাদও করা হয়নি। ফলে এই শ্বেতপত্রের পাতায় পাতায় অসংখ্য ভুল তথ্য, অর্ধ সত্য ও নানা রকম অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
শ্বেতপত্রটির আ’লো’চি’ত অংশ ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের তালিকা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা’র শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান কাসেমী বলেন, ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ১৫ জন বক্তার একটি তালিকা প্রণয়ন করে এবং এদের বি’রু’দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়৷ এতে প্রমাণ হয় যে, বাংলাদেশ সরকার ওয়াজ মাহফিলে ধ’র্মের অ’পব্যবহার স’ম্প’র্কে সজাগ ও সচেতন রয়েছে। এরপরও এই ভুঁইফোড় সংগঠনটি এই বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে এবং এর মাধ্যমে ফায়দা লুটার অশুভ পাঁয়তারা আটছে। আম’রা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জ’ঙ্গিবাদ বিরোধি অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও এখানে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গণকমিশনের বি’রু’দ্ধে স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অ’ভিযোগ এনে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা’র মহাসচিব মা’ওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী বলেন, আম’রা মনে করি, বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশকে বিনষ্ট করে আলেম-উলামা ও সরকারকে মুখোমুখি করার একটি হীন, অ’পপ্রয়াস হিসাবেই গণকমিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, আম’রা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, শান্তির ধ’র্ম ই’স’লা’মকে ব্যবহার করে কোনো ধরণের অশান্তি সৃষ্টির সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। সন্ত্রাস ও জ’ঙ্গীবাদ প্রতিরোধে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত, এই মহান সাফল্যে কালিমা লেপনের যেকোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা প্রতিহত করবে।