ওয়াশিংটনে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বুধবার যু’ক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সাথে দেখা করতে ওয়াশিংটনে আসছেন। এটি নিঃস’ন্দেহে দুই ন্যাটো মিত্র দেশের মধ্যে স’ম্প’র্ক সংশোধনের সর্বসাম্প্রতিক পদক্ষেপ। তবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আটলান্টিক জোটে যোগদানের বি’রু’দ্ধে তুরস্কের ভেটো দেবার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে তুর্কি কূটনীতিকের উত্তর দেয়ার জন্য বেশ কঠিন কিছু প্রশ্নও অ’পেক্ষা করছে।
ওয়াশিংটনের একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল আঙ্কারা। তবে, তুরস্কের দুর্বল মানবাধিকার রেকর্ড এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সাথে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ স’ম্প’র্কের কারণে বর্তমানে দুই দেশের স’ম্প’র্কে বেশ টানাপোড়েন চলছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ই*উ*ক্রে*নের প্রতি তুরস্কের শক্তিশালী সম’র্থন যু’ক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক স’ম্প’র্ক পুনঃস্থাপনের একটি সুযোগ দিয়েছে। বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, কাভুসোগলুর ওয়াশিংটন সফর সেই প্রক্রিয়াটিকে সাহায্য করবে।
তবে ইউরোপীয় কাউন্সিলের একজন সিনিয়র ফেলো আসলি আইদিনতাসবাস সতর্ক করে দিয়েছেন যে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদে ভেটো দেয়ার জন্য এরদোগানের হু’মকি, চাভুসোগলুর এই সফরের উপর কালো ছায়া ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এরদোগানের কঠোর অবস্থান, পুতিনের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ স’ম্প’র্ক নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগকে আরো বাড়িয়ে দেবে। উপরন্তু, তুরস্ক রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার কারণে, ওয়াশিংটনকে আঙ্কারার উপর সাম’রিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেও প্ররোচিত করবে।
ইস্তাম্বুলের কাদির হাস ইউনিভা’র্সিটির আন্তর্জাতিক স’ম্প’র্ক বিশেষজ্ঞ সোলি ওজে’ল বলেছেন, কাভুসোগলুর উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্কের কাছে এফ-১৬ যু’দ্ধবিমান বিক্রির অনুমতি দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে রাজি করানো। তবে এরদোগানের চূড়ান্ত আনুগত্য ঠিক কোথায়, তা নিয়ে নতুন করে উত্থাপিত প্রশ্নগুলো আরো জটিল হয়ে দেখা দিতে পারে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার মিডিয়া ঘোষণা করেছে, পুতিন আগামী দিনে তুরস্ক সফর করার পরিকল্পনা করছেন। তবে ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে আঙ্কারা নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। এটা ঠিক, পুতিনের তুরস্ক সফর ওয়াশিংটনসহ তুরস্কের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে অস্বস্তি বাড়াবে। পেনসিলভেনিয়া ভিত্তিক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অ্যারন স্টেইন বলেছেন, তুরস্কের প্রতি ওয়াশিংটনের অনুভূতি সম্ভবত আরো বেশি সাবধানী হতে পারে।