জোড়াতালি দেওয়া একটি প্ল্যাটফর্মের নাম বিএনপি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা যুবকদের কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু এই যুবকদের হাতে জিয়াউর রহমান অ’স্ত্র আর মা’দ’ক তুলে দিয়েছিল। ৭৫-পরবর্তী মুক্তিযু’দ্ধের চেতনাধ্বং,স করে দেওয়া হয়েছিল। দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার জন্য মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
যু’দ্ধ অ’প’রা’ধী, বঙ্গবন্ধুর খু’নিদের সমাজে অর্থনীতিতে, রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে এবং সেখানে আবার মুক্তিযোদ্ধাদের সংযোজন করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন চরিত্র ধরে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। সেই প্ল্যাটফর্মের নাম আজকের বিএনপি। এ রকম একটি জোড়াতালি দেওয়া প্ল্যাটফর্ম কখনো টিকতে পারে না।
সোমবার বরিশালের কীর্তনখোলা নদীরে তীরে বিআইডাব্লিউটিএর ড্রেজার বেইস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অ’তিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআইডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গো’লাম সাদেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অ’তিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, অ’তিরিক্ত পু’লিশ কমিশনার এনামুল হক, বরিশাল জে’লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্ম’দ ইউনুস, পু’লিশ সুপার মা’রুফ হোসেন, যাত্রীবাহী নৌযান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু প্রমুখ।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাচ্যের ভেনিস বরিশাল। নদী-খাল দিয়ে পরিবেষ্টিত, সেই খালগুলোতে এখন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে গেছে, দখল হয়ে গেছে এবং দূষণে ভরে গেছে। এখন প্রাচ্যের ভেনিস এ কথাটি বলতে লজ্জাই লাগে। ৫০ বছরের বাংলাদেশ এই জায়গাতে চলে এলো। যখন ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের নদীনালাগুলোর নাব্যতা কমে গেছে, এই নদী নালাগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। ৫০ বছর তিনি যে কথা বলেছিলেন, আজ সেগুলো নিয়ে আম’রা চর্চা করছি। ‘
দব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি স’ম্প’র্কে তিনি বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবী একটা ঝুঁ’কির মধ্যে রয়েছে। সব দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভা’রতের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কেমন জানবেন। ইউরোপ-আ’মেরিকার কী অবস্থা জানবেন। আম’রা তো পৃথিবীর মধ্যে একটি রাষ্ট্র। আম’রা তো দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী না যে আম’রা চাঁদে গিয়ে থাকব। বিষয়টা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা রয়েছে কি না, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কি না। খালেদা জিয়ার সময় মঙ্গা দেখেছি, ইফতারের সময়, সাহরির সময় মানুষ খেতে পারেনি। শত শত মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে মা’রা গেছে। কৃষক সারের জন্য জীবন দিয়েছে। কিন্তু এখন তো দেয় না। দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। ‘