ছোট থেকে বড় ফি’লি’স্তিনি পরিবারটির সবাই কুরআনের হাফেজ
কয়েক দিন আগেই ফি’লি’স্তিনের গাজা উপত্যকার আসলিম পরিবার তার সর্ব কনিষ্ট সদস্যের হিফজ সমাপনী উদযাপন করল। এর মাধ্যমেই পবিত্র কুরআনের হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করল পরিবারটির ছোট থেকে বড় সবাই।গত সপ্তাহের শুরুতে তাদের হিফজ উদযাপনের সম্মিলিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে। আলজাজিরাও বিষয়টি নিয়ে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আলজাজিরাকে পরিবারক’র্তা প্রকৌশলী তারিক আসলিম জানান, পবিত্র কুরআন মুখস্থ করা তার পরিবারের অন্যতম ভিত্তিগুলোর একটি। এটি স্রেফ আবেগ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছে’লে-মে’য়েরা যখন-ই স্বাভাবিকভাবে পড়তে ও বুঝতে শেখে, তখন-ই পর্যায়ক্রমে আম’রা তাদের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, মুখস্থ করানোর চেষ্টা করি। তারা কুরআন হিফজের সাথে সাথে যাতে বুঝতেও পারে সে পন্থা অনুসরণ করি।’
তারিক আসলিম জানান, ম’স’জিদে হিফজ কোর্স কিংবা মাদরাসায় যেমন কুরআন মুখস্থের সহায়ক পরিবেশ থাকে, বাড়িতেও তার অনুগামী পরিবেশে বাচ্চারা হিফজ শুরু করে।তার সন্তানেরা দুই-তিন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে হিফজ সম্পন্ন করে। তবে বেশিরভাগ ছে’লে-মে’য়ে মাত্র এক বছরেই হিফজ সমাপ্ত করতে পেরেছে।
তারিক আসলিম গর্ব করে বলেন, ‘আমা’র সন্তানেরা শুধু হাফেজ বিষয়টি এমন নয়; বরং আমা’র বড় মে’য়ে সালমা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েট। সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় হিফজ সম্পন্ন করে। ছে’লে মোহাম্ম’দও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সে এখন যু’ক্তরাষ্ট্রে থাকে। মোহাম্ম’দ খুব অল্প বয়সে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
তিনি জানান, তার মে’য়ে হিন্দও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরে সে হিফজ করে। ছে’লে ইবরাহিম কলেজে পড়ছে। সে হাফেজ হয় অষ্টম শ্রেণীতে থাকতে। মে’য়ে সারাও একই শ্রেণীতে থাকতে হিফজ সম্পন্ন করে। জান্নাত সপ্তম শ্রেণীতে। আর সবার ছোট আহমাদ পঞ্চ’ম শ্রেণীতে ওঠার আগেই হিফজ সমাপ্ত করলো।
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন মুখস্থ পড়ালেখায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিনা জানতে চাইলে তারিক আসলিমের স্ত্রী’ জানান, আমা’র সন্তানেরা মেধাবী। তারা কুরআন হিফজের জন্য আলাদা সময় ব্যয় করেনি; বরং মোবইল, গেমস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারা দূরে। এই সময়টাই তারা কুরআন মুখস্থে কাজে লাগিয়েছে।
ছোট ছে’লে আহমাদ বলে, ‘শুরুতে হিফজ করাকে খুব কঠিন মনে হতো। কিন্তু ধারাবাহিক চেষ্টায় সাফল্য পেয়েছি। আলহাম’দুলিল্লাহ!’