গণ-আ’ন্দোলন অচিরেই গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে
গণ-আ’ন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে অচিরেই এটা গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আনোয়ার উল্লাহ।
ভ’য়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটারস রাইটস নামক সংগঠনের আয়োজনে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অ’তিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফা কা’মাল মজুম’দারের সভাপতিত্বে ড. আনোয়ার উল্লাহ বলেন, একাত্তরে মুক্তিযু’দ্ধ করেছিলাম পা’কিস্তানের অ’ত্যাচারের বি’রু’দ্ধে। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ হ’ত্যাযজ্ঞ চালালে জিয়াউর রহমান দুটি ঘোষণা দেন। একটি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা অ’পরটি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এদেশের মানুষ যু’দ্ধ করছে।
যু’দ্ধে জয়লাভের পরে ভেবেছিলাম রাজনৈতিক নি’র্যা’তন এদেশে আর হবে না। গণতন্ত্রের জন্যে ল’ড়াই করতে হবে না। এ দেশ বৈষম্যহীন, শোষণ বঞ্চনাহীন হবে। পা’কিস্তানের চেয়ে ভ’য়াবহ এই সরকার, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠেছে।
জ্যা জ্যাক রুশো লিখেছিলেন মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করে কিন্তু পরে শৃঙ্খলিত হয়। এই সরকারও এভাবে হিটলার-মু’সোলিনির মতো মানুষকে শৃঙ্খলিত করছে বলে মন্তব্য করেন ঢাবির সাবেক এ ভিসি।তিনি আরো বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে এজন্য আমা’র ছাত্র ড. মুহাম্ম’দ সামাদ শিক্ষক হয়েছিলেন। তিনি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রো-ভিসি আওয়ামীলীগ তার দলের মেধাবীদেরও এখন পদন্নোতি দেয় না, দেয় দালালদের।
তিনবারের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দিতে চান, ড. ইউনুসকে ফেলে দিতে চান এটা স’ন্ত্রা’সী কর্মকা’ণ্ড। কীভাবে প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের কথা বলতে পারেন বলে প্রশ্ন তোলেন সাবেক এ উপাচার্য।বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল (২০০২ সালে) তখন ২২ জন ছাত্রকে বহিস্কার করা হয় তারমধ্যে ১৬ জন ছিল ছাত্রদলের। তখন ন্যায়-অন্যায় দেখা হতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি যেন নির্বাচনে না যায় সেজন্য বিএনপির বড় নেতাদেরকে দিয়ে সরকারই সিস্টেম করেছে যেন বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এবার যদি এই সরকার আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশে কথা বলারও সুযোগ থাকবে না।