প্রথম ভাষণেই ‘কা’শ্মীর’ নিয়ে ভা’রতকে একহাত নিলেন শাহবাজ
পা’কিস্তানজুড়ে ইম’রান খানের ‘আজাদি মা’র্চ’ নিয়ে যখন উ’ত্তে’জ’না তুঙ্গে, যখন কনটেইনার দিয়ে রাস্তা আ’ট’কে দেওয়া হচ্ছে, যখন লিটারে জ্বালানি তেলের দাম ৩০ রুপি বৃদ্ধি পেল, তেমনই এক টালমাটাল অবস্থায় জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে পা’কিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কা’শ্মীর ইস্যুকে টেনে সামনে এনেছেন। ভা’রতকে কা’শ্মীর নিয়ে ‘অ’বৈ’ধ’ সিদ্ধান্ত তুলে নিতে বলেছেন।
এদিন এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য ভা’রতকে জম্মু-কা’শ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ পুনর্বহালের আহ্বান জানান তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি রক্ষার দায়ও তিনি চাপিয়েছেন প্রতিবেশী দেশের ওপর।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, তিনি বলেছেন, এশিয়ায় শান্তি রক্ষায় ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের ‘অ’বৈ’ধ’ সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া ভা’রতের দায়িত্ব। দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
ভাষণে পিটিআইপ্রধান ইম’রান খানের বি’রু’দ্ধে তিনি বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাতের অ’ভিযোগ করেন। এ ছাড়া ঋণ, মুদ্রাস্ফীতিসহ চলমান ভ’য়াবহ সব সমস্যার জন্য তিনি তাকেই দায়ী করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কা’শ্মীরের বিশেষ ম’র্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় মোদি সরকার। ফলে উপত্যকায় আর কোনো আলাদা সংবিধান, আলাদা পতাকা রইল না। সেই সঙ্গে রাজ্যের ম’র্যাদাও হারায় ভূস্বর্গখ্যাত কা’শ্মীর।
এর পর থেকেই দেশটিতে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবি করে আসছে পা’কিস্তান।
১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কা’শ্মীরকে বিশেষ ম’র্যাদা দেয়া হলেও সেই ম’র্যাদা স্থায়ী ছিল না; বরং ছিল অস্থায়ী সংস্থান (টেম্পোরারি প্রভিশন)। কিন্তু এ ধারারই ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে এই ‘বিশেষ ম’র্যাদা’ তুলে নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরপরই শাহবাজ বলেছেন, ‘আম’রা কেন আমাদের আগামী প্রজন্মকে ক’ষ্ট দিতে চাইব। আসুন, জাতিসংঘের পরিকল্পনা এবং কা’শ্মীরিদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এ সমস্যার সমাধান করি।’