শালিস বৈঠকে ২ না’রীসহ চারজনকে পে’টালেন ইউপি সদস্য
ঝালকাঠির নলছিটিতে শালিস বৈঠকে দুই না’রীসহ চারজনকে পি’টি’য়ে আ’হত করার অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যর বি’রু’দ্ধে। এ ঘটনায় উপজে’লার মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম হাওলাদার ও তার সহযোগীদের বি’রু’দ্ধে আ’দা’লতে মা’ম’লা করেছেন নির্যাতিতরা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবারকে নানা ধরনের হু’মকি দিচ্ছেন অ’ভিযু’ক্ত ইউপি সদস্য। তার হাত থেকে জীবন বাঁ’চানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার।শনিবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অ’ভিযোগ করেন খাওক্ষির গ্রামের নির্যাতিত গৃহবধূ জেসমিন বেগম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেসমিন বেগমের স্বামী আব্দুল হক সিকদার।
লিখিত বক্তব্যে অ’ভিযোগ করা হয়, আব্দুস ছালাম সিকদারের সাথে ৪৫ শতাংশ জমি নিয়ে তার আপন ভাই মাহিন্দ্রা গাড়িচালক আব্দুল হক সিকদার ও মো: জলিল সিকদারের সাথে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় মগড় ইউপি চেয়ারম্যান গত ৬ জুন তাদের শালিস মিমাংসার জন্য উভ’য় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। দুই পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে আসলে শালিস বৈঠক শুরুর আগেই আব্দুস ছালামের পক্ষ হয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার ও তার লোকজন আব্দুল হক সিকদার ও তার পরিবারের ওপর হা’ম’লা চালায়। এ সময় লা’ঠি দিয়ে পি’টি’য়ে এবং পদদলিত করে দুই না’রীসহ চারজনকে আ’হত করে তারা।
গুরুতর আ’হত জেসমিন বেগম ও শাহীনুর বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আরো আ’হত হন জেসমিনের স্বামী আব্দুল হক সিকদার ও ছে’লে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র তামিম সিকদার।
ঘটনার পর জেমসিনের স্বামী আব্দুল হক সিকদার গত ৮ জুন ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আ’দা’লতে মা’ম’লা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবারকে নানাভাবে হু’মকি দিচ্ছেন ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার। মা’ম’লা তুলে নিতে চাপও দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অ’ভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তাদের হাত থেকে জীবন বাঁ’চাতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কা’মনা করেছেন নির্যাতিতরা।
অ’ভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিজেরাই মা’রামা’রি করেছে। আমি তাদের উভ’য় পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি।