সিসি ক্যামেরায় ভালো হচ্ছে কুসিক ভোট
চলমান কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের সবকিছুই রেকর্ড করা থাকছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে। কেননা, প্রতিটি কেন্দ্রেই বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সিটি নির্বাচনে ১০৫টি ভোট’কেন্দ্রের ওপর চোখ রাখছে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা। কেন্দ্রের ও ভোট’কক্ষের প্রবেশ পথেই বসানো হয়েছে এই যন্ত্রগুলো।
বৃষ্টির কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও সেটা ধীরে ধীরে বাড়ছে। কোথাও বড় কোনো অনিয়মের অ’ভিযোগ এখন পর্যন্ত আসেনি।নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আম’রা সিসি টিভিতে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। ভালো ভোট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো অ’ভিযোগ নেই।
নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ই’স’লা’মী আ’ন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ই’স’লা’ম, স্বতন্ত্র হিসেবে কা’ম’রুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্ম’দ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পাঁচ প্রার্থী।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জন প্রার্থী আছে ভোটের মাঠে। নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।এ সিটিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন না’রী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া ‘হিজড়া’ ভোটার রয়েছে দু’জন।
ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৬ হাজার ৪৭৪ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩ হাজার ৮৯৪জন।২০১৭ সালের ৩০ মা’র্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করার শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১৬ মে। কিন্তু বিগত কমিশন বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় আর তফসিল দেয়নি। ফলে অ’তি অল্প সময়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এই সিটি পরিচালনায় দায়িত্ব দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মক’র্তাকে। নির্বাচনের পর নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করা পর্যন্ত তিনি করপোরেশন পরিচালনা করবেন।
বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু ২০১৭ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কুসিকের প্রথম নির্বাচনেও ২০১২ সালে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। প্রথমবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় সাক্কু স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরের বার বিএনপির টিকিটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও জয়লাভ করেন। এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করায় সাক্কু হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।দু’টি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার।