চেয়ারম্যানের বি’রু’দ্ধে জিআরের ২০ টন চাল বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অ’ভিযোগ
কি’শোরগঞ্জের ভৈরবে আগানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হু’মায়ূন কবিরের বি’রু’দ্ধে ২০ টন জিআর (খাদ্য সহায়তা) বরাদ্দের চাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ চালের সরকারি মূল্য ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য এ বিষয়ে কি’শোরগঞ্জর জে’লা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অ’ভিযোগ দিয়েছেন।
অ’ভিযোগে জানা গেছে, আগানগর ইউনিয়নে চলতি ব’ন্যা ও দু’র্যোগের কারণে এলাকার গরিব ও হতদরিদ্রদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য দুটি ডিওতে জিআর বাবদ ২০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান হু’মায়ূন কবির গত ৩০ জুন বরাদ্দ চাল ভৈরব খাদ্যগুদাম থেকে ডেলিভা’রি নিয়ে এলাকায় চাল নেননি। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা অবগত ছিলেন না।
পরে মেম্বাররা চালের বিষয়টি অবগত হয়ে তারা চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলে চেয়ারম্যান হু’মায়ূন বলেন, সব বিষয় আপনাদের জানাতে হবে কেন? তার পর মেম্বাররা জানতে পারেন জিআরের বরাদ্দের চাল এলাকার হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ না করে পুরো ২০ টন চাল চেয়ারম্যান কালোবাজারে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।
অ’ভিযোগের কপিতে ইউপি সদস্যদের মধ্যে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, আ. হামিদ, উজ্জ্বল মিয়া, রাশেদ, শহিদ মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, আউয়াল মিয়া, বিলকিস আক্তার, হেনা বেগম, নাদিরা বেগম।
এ বিষয়ে উপজে’লা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, অ’ভিযোগের কপিটি পেয়েছি। ঘটনা ত’দ’ন্ত করে প্রমাণ হলে চেয়ারম্যানের বি’রু’দ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে অ’ভিযু’ক্ত চেয়ারম্যান মো. হু’মায়ূন কবির বলেন, পরিবহণ সংকট ও রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বরাদ্দের চাল এলাকায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। চালগুলো ভৈরব বাজারের একটি গুদামে মজুত রাখা হয়। শিগগিরই চাল নিয়ে এলাকার গরিব ও হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করব।
এতদিন চাল এলাকায় নেননি কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান রেগে গিয়ে বলেন, সব জবাব আপনাকে দিতে পারব না।