কক্ষে মানুষ নেই তবুও জ্বলছে বাতি, ঘুরছে ফ্যান
জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে বিশ্ব। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশেও ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুতের উৎপাদন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংসহ নানান উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে বাস্তবে এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করছে খোদ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের অন্য সময়ের মতো এ দুর্দিনেও চলছে বিদ্যুৎ বিলাস।
নগরে চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবন ঘুরে দেখা মিলে এমন চিত্র। ভবনের তৃতীয় তলায় প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পাশের কক্ষে পর পর চারটি চেয়ার ফাঁকা থাকলেও দিব্যি চলছিল লাইট-ফ্যান। এর পাশের আরেকটি কক্ষেও একই অবস্থা। একই তলায় স্যুয়ারেজ প্রকল্পের পরিচালক ও ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ই’স’লা’মের কক্ষের সামনে কেউ না থাকলেও ঘুরছিল ফ্যান। প্রায় ২০ মিনিট অ’পেক্ষার পরও কাউকে বসতে দেখা যায়নি কক্ষের সামনে রাখা চেয়ারে। শুধু তৃতীয় তলায় নয়, ওয়াসা ভবনের বিভিন্ন তলায় এভাবেই হচ্ছে বিদ্যুত অ’পচয়। দিনের আলো থাকার পরও জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি।
জানা গেছে, সরকারিভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও অভ্যন্তরীণ কোনো নির্দেশনা এখনও দেওয়া হয়নি প্রতিষ্ঠান থেকে। ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে যেন গা ছাড়া ভাব প্রতিষ্ঠানে কর্ম’রতদের।
চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে যত্রতত্র বিদ্যুৎ অ’পচয়ের বিষয়ে ওয়াসার এমডি একেএম ফয়জুল্লাহ ও প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম দেশের বাহিরে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভা’রপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্বে থাকা উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) তাহেরা ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানালেও অ’পচয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।