বিবৃতিতে জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রে ন্যায়ভিত্তিক সংস্কার প্রতিষ্ঠা, গণহত্যার বিচার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ, স্বাধীন সাংবিধানিক কাঠামো গঠন ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। তিনি উল্লেখ করেন, “জুলাই সনদ সেই নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা বহন করে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত এর আইনি ভিত্তি প্রদানে বিলম্ব করছে, যা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।”

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় ধীরগতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতার সুযোগে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি দলটির পক্ষ থেকে সংগঠিত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করার আহ্বান জানান ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গণহত্যার বিচার ও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া জাতির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।”

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর (বুধবার) সারাদেশের বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি দেশপ্রেমিক ছাত্রসমাজ ও নাগরিকদের উক্ত কর্মসূচি সফল করে তুলতে আহ্বান জানান।