পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের প্রভাব

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের প্রভাবে কমেছে তাপমাত্রা। সড়ক ও মহাসড়কে কুয়াশার কারণে যান চলাচলে সতর্কতার প্রয়োজন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে শীত ও কুয়াশা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে ঘন কুয়াশা ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট। কমেছে তাপমাত্রা, এবং কুয়াশার সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা বাতাস। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন এবং রাতের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য প্রায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশা পথঘাট ঢেকে দিয়েছে। রাতভর কুয়াশা নেমে থাকার কারণে ভোরের দিকে আরও ঘন হয়ে গেছে। ধানের শীষে জমে থাকা শিশিরের বিন্দু থেকে বোঝা যাচ্ছে শীতের প্রবেশ ঘটতে চলেছে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল ও সন্ধ্যার সময় ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিশক্তি সীমিত হয়ে যাচ্ছে, যা সর্তকতার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি করেছে।
পঞ্চগড় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়াশা ও শীতের পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, মৌসুমী বায়ু এবং নিম্নচাপের প্রভাবে এই ধরনের আবহাওয়াগত পরিবর্তন সামনের দিনগুলোতে আরও প্রকট হতে পারে।
স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই ঘন কুয়াশা ও শীতকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের জন্য বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা ধানের ক্ষতি এড়াতে মাঠে অতিরিক্ত নজর রাখছেন।
উত্তরাঞ্চলের এই আবহাওয়াগত পরিবর্তন এলাকার দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘন কুয়াশা ও কম তাপমাত্রার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।