জুলাই আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
“জুলাই আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি গুলির নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রকাশিত অডিও রেকর্ডে দেখা যায় কর্নেল রাজিবকে ফোনে দেওয়া এই নির্দেশ।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে জানান, আন্দোলন দমনকালে শেখ হাসিনা তার ডেপুটি সামরিক সচিব কর্নেল রাজিবকে সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালে ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর একটি বিশেষ ভিডিও প্রতিবেদন প্রদর্শন করেন। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর আন্দোলন দমন ও ক্ষমতায় টিকে থাকার নানা পদক্ষেপের বিশদ বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ফোনে কর্নেল রাজিবকে নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, “ওরা কিন্তু জায়গায় জায়গায় এখন জমা হতে শুরু করেছে। মিরপুর ১০ নম্বর, উত্তরা, তারপরে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন জায়গায়। শুরুতেই কিন্তু ইয়ে... করতে হবে, একদম শুরুতেই। ধাওয়া দিলে এরা গলিতে গলিতে থাকবে। এবার আর কোনো কথা নাই, এবার শুরুতেই দিবা।”
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, উক্ত অডিও রেকর্ডের অপর প্রান্তে ছিলেন কর্নেল রাজিব, যিনি শেখ হাসিনার ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন গত বছরের ১৯ জুলাই, যখন দেশজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। প্রসিকিউটর দাবি করেন, এই নির্দেশই ছিল আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলির অনুমোদন, যা পরবর্তীতে বহু হতাহতের কারণ হয়।
তিনি আরও জানান, কর্নেল রাজিব বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে, শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গণআন্দোলন দমনে সহিংসতা চালান, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।