কাওলা রেলগেট এলাকায় ছিনতাই এর ঘটনায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরী পদক্ষেপ

কাওলা রেলগেট এলাকায় ছিনতাই এর ঘটনায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরী পদক্ষেপ
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

আজ সন্ধ্যায় (১৮ ফেব্রুয়ারি) নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দুই শিক্ষার্থী কাওলা রেলগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। ছিনতাইকারীরা তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও অর্থ ছিনিয়ে নেয় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করে। এই ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করে।

রাত আনুমানিক ১০:৫০টায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি আহসান নাঈম তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। সেখানে তিনি কয়েকজন ছাত্রনেতার পরামর্শে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এই স্ট্যাটাসটি দ্রুত ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এর পরপরই শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হয়ে রাত ১১:৩০টায় কাওলা রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে।

শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা অভিযোগ করেন যে প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবহেলা দেখিয়ে আসছে। ছিনতাই, হামলা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এখানে নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

বিক্ষোভ চলাকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এয়ারপোর্ট থানা ও দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি ও সমস্যা তুলে ধরার পর পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেন।

শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভের কারণে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পুলিশের সাথে আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। পুলিশ এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন এবং আনুমানিক রাত ১২টায় বৈঠক শুরু হয়।

রাত ২টা পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আহসান নাঈম, মাহমুদুল হাসান, আহান, শাওন, শরীফসহ অন্যান্য ছাত্রনেতারা অংশ নেন। তারা তাদের দাবি স্পষ্টভাবে উত্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে—
১. বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি বা চেকপোস্ট স্থাপন এবং সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করা।
২. কাওলা রেলগেট থেকে বৈশাখী মোড় পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিয়মিত নজরদারি করা।
৩. এলাকার সমস্ত রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট সচল করা, যাতে রাতের বেলায় চলাচল নিরাপদ হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে, তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন এবং আগামীকাল থেকেই এর ফলাফল দেখা যাবে। আনুমানিক রাত ২:৩০টায় বৈঠক শেষ হয় এবং পুলিশের আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ স্থগিত করে।


সম্পর্কিত নিউজ