রাজনৈতিক জটিলতার মাঝেই আজ বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাজনৈতিক জটিলতা ও মতভিন্নতার মধ্যেও আজ বিকেলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐক্যের প্রতীক এই সনদে সই করবে বিভিন্ন দল।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনার ফলেই এ সনদ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রক্তক্ষয়ী জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দাবি ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪৪টি বৈঠকে ৩২টি দল ও জোট ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব দেয়, যার মধ্যে ৬২টি প্রস্তাবে ঐক্য হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংবিধান সংশ্লিষ্ট ১৯টি মৌলিক সংস্কার নিয়ে আলোচনায় ১০টি প্রস্তাবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল নোট অব ডিসেন্ট দেয়।
কমিশনের ৮৪ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে এবং ৩৭টি আইন বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়েছে। যদিও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক বৈঠকে চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। ১৪ অক্টোবর কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চূড়ান্ত খসড়া পাঠায়, যেখানে কিছু প্রস্তাবে মতভিন্নতা রয়ে গেছে।
এদিকে স্বাক্ষরের আগে এনসিপি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া প্রকাশ না করলে তারা সই করবে না। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে অনড় থাকলেও বিএনপিসহ অধিকাংশ দল স্বাক্ষরে আগ্রহী।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বৃহস্পতিবার বলেন, “আমরা আশা করি, সব দল মতভিন্নতা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. ছিদ্দিকুর রহমান সতর্ক করে বলেন, “এই বন্দোবস্ত যদি সম্পন্ন না হয় এবং জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তবে দেশ দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়বে।”
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।