বাংলাদেশের যুব উৎসবে সাড়ে ২৭ লাখ নারীর অংশগ্রহণ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মাসব্যাপী নানা কার্যক্রমের পর গত বুধবার পর্দা নেমেছে বাংলাদেশের যুব উৎসব-২০২৫ এর। এখানে দৃশ্যমান পরিবর্তন হলো- খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশি তরুণীদের প্রাধান্য।
আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই উৎসবে নারীরা ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল এবং বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী- দেশজুড়ে কমপক্ষে ২৭ লাখ ৪০ হাজার নারী মোট ২,৯৩১টি ক্রীড়া ইভেন্ট এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেখানে মোট ৮৫৫টি ফুটবল ম্যাচ ছিল এবং এই খেলাগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো বিপুল সংখ্যক নারী কখনো এতো ক্রীড়া ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেননি!
অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের ৫০০টিরও অধিক গ্রামীণ উপ-জেলা শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধুমধামের সাথে নারী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। যেখানে লাখ লাখ দর্শক উৎসবমুখর পরিবেশে ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন।
ইতিবাচক বাস্তবতার পরও কিছু সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে যে- দেশে নারীদের ফুটবল হুমকির মুখে রয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো, সারা দেশে কয়েকশত মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ খেলা সত্ত্বেও স্থানীয়রা মোট তিনটি ম্যাচ বাধাগ্রস্ত করেছে যা তারা ব্যক্তিগতভাবে আয়োজন করা করছিলো। অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে এসব ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষেও দাবি, দুইটি ম্যাচ থামানো হয়েছিল কারণ আয়োজকরা সাময়িকভাবে দর্শকদের খেলা দেখার জন্য বাধা দিয়েছিলেন এবং তারা টিকিটের জন্য চার্জ করছিলেন। এর মধ্যে একটি ম্যাচ পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শত শত দর্শক উপস্থিত ছিলেন। যেসব এলাকায় অন্যান্য দুটি ম্যাচ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, সেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি ছিল। যে কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে নারীদের ফুটবল খেলার প্রতি স্থানীয়দের কোনো আপত্তি নেই। এসব ম্যাচ আবারও অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনটি ম্যাচের স্থগিতকরণ দুর্ভাগ্যজনক হলেও, এমন কোনো ধারণা যে দেশে নারীদের অধিকার আক্রমণের শিকার হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভুল। অস্থায়ী সরকার নিজেই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যদিও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নারীদের ক্রীড়ায় রেকর্ড-ব্রেকিং অংশগ্রহণ এবং হাজার হাজার দর্শক যারা তাদের উৎসাহ দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন, তা প্রমাণ করে যে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশে নারীদের অধিকারকে সমর্থন করার জন্য ব্যাপক এবং গভীর সহমত বিদ্যমান।