আপনি সর্বশেষ কবে অনুবাদসহ কোরআন পাঠ করেছেন?

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
পবিত্র আল কোরআন মহান আল্লাহর শাশ্বত বাণী, যা মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা হিসেবে নাজিল করা হয়েছে। কোরআন কেবল তেলাওয়াতের জন্য অবতীর্ণ হয়নি; বরং এর প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো অর্থসহ বুঝে পড়া, তা হৃদয়ে ধারণ করা এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বাস্তবায়ন করা। কোরআনের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলেই মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা অর্জন করতে পারে।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা করে।’ (সুরা সোয়াদ, আয়াত ২৯)। আবার তিনি বলেন, ‘আমি কোরআনকে বোঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোনো চিন্তাশীল আছে কি?’ (সুরা কামার, আয়াত ২২)। এসব আয়াত প্রমাণ করে যে, কোরআন বোঝার জন্যই নাজিল হয়েছে, শুধুমাত্র পাঠের জন্য নয়।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোরআন পাঠের পাশাপাশি এর ব্যাখ্যা ও অর্থ সাহাবাদের (রাঃ) বুঝিয়ে দিতেন। তাঁর সাহাবিরা কোরআনের প্রতিটি আয়াত মনোযোগসহ অনুধাবন করতেন এবং তা জীবনে বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত নতুন আয়াত মুখস্থ করতেন না। তাঁদের এই চর্চাই প্রমাণ করে, কোরআন পাঠ মানেই চিন্তা, উপলব্ধি ও প্রয়োগ।
বর্তমান সময়ে অনেক মুসলমান কোরআন পাঠে আগ্রহী হলেও অনুবাদসহ পড়ার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ কোরআন বোঝার মাধ্যমেই মানুষ নিজের ভুল উপলব্ধি করতে পারে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে পারে এবং আল্লাহভীতি অর্জন করতে সক্ষম হয়।
তাই এখনই আত্মমূল্যায়নের সময়, আপনি সর্বশেষ কবে অনুবাদসহ কোরআন পাঠ করেছেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরই হতে পারে আল্লাহমুখী জীবনের সূচনা এবং প্রকৃত হিদায়াতের পথচলা।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।