কোম্পানিটি জানায়, ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি যে ধরনের অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সংযম ও ধৈর্য দেখিয়েছেন, যা প্রশংসার দাবিদার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ এক ধরনের ছলনাপূর্ণ বলে মনে হয়েছে, যা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। এ কারণে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নরওয়ের বন্দরে অবস্থানরত মার্কিন নৌবাহিনীকে আর জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না।

হাল্টবাক বাংকার্সের মালিক গুনার গ্রান নরওয়ের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ট্রাম্প যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন আমরা মার্কিন নৌবাহিনীকে এক ফোঁটা জ্বালানি দেব না। আমরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের গ্রাহক বেছে নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের পর আমরা রাশিয়ানদের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করেছিলাম। এতে আমাদের প্রতিযোগীরা লাভবান হলেও আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। কিন্তু আমাদের নৈতিক অবস্থান অটুট রয়েছে। এখন ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের কারণে আমেরিকানদের জন্যও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এই জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং নরওয়ের বন্দরে অবস্থানরত মার্কিন নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ আর হাল্টবাক বাংকার্স থেকে জ্বালানি পাবে না। কোম্পানিটি ইউরোপের অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে বলেন, “আমরা মার্কিন জনগণ ও সরকারের প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ। আমাদের সম্পর্ক শুধু দুই নেতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আমাদের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক ও দৃঢ় বন্ধনের প্রতীক।”

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হাল্টবাক বাংকার্স তাদের নৈতিক অবস্থানকে প্রাধান্য দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দিতে পারে।