সোমবার (১ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী কারাকাসে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু সেই শান্তি অবশ্যই সার্বভৌমত্ব, সমতা ও স্বাধীনতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। কোনো উপনিবেশকৃতির শর্তে আমরা শান্তি চাই না।“


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক এক ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি মাদুরোকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার চূড়ান্ত বার্তা দেন। যদিও ট্রাম্প ফোনালাপের কথা স্বীকার করে এটিকে কেবল একটি ‘ফোনকল’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম মায়ামি হেরাল্ডের সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্প মাদুরোকে স্পষ্ট বার্তা দেন যে, “আপনি নিজেকে ও আপনার মিত্রদের রক্ষা করতে পারেন, কিন্তু একটাই শর্ত—আপনাকে এখনই দেশ ছাড়তে হবে।“
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি মাদুরোকে প্রস্তাব দেন, তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করলে মাদুরো, তার স্ত্রী ও পুত্রের পালানোর জন্য নিরাপদ পথের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

এদিকে, ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। কয়েক মাস ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ভেনেজুয়েলার কাছে অবস্থান করছে এবং ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

ওয়াশিংটন দাবি করছে, এই অঞ্চলে মাদক পাচার রোধের জন্য এসকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারাকাস দৃঢ়ভাবে দাবি করছে, এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘শাসন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা’ ছাড়া আর কিছু নয়।

সিএনএন খবরে জানা যায়, এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শীঘ্রই রাষ্ট্রদূত মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এই বৈঠকের পরই পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।