আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিট খারিজ করেন।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম গত ৩ ডিসেম্বর এই রিট দায়ের করেন। রিটে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিলো-
-নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করা।
-নির্বাচন কমিশনের জন্য ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা।
-রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত রাখা।

রিট আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয় যে, নির্বাহী বিভাগের লোকবল দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পরিচালনা এবং নির্বাচন পরিচালনা করা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থাকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়।

আদালতের মনোভাব বুঝতে পেরে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তিনি নিজেই রিট আবেদনটি নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) করে নিয়েছেন এবং এই মামলাটি আর চালাবেন না।

এর আগে রিট দায়েরের সময় অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে মতবিনিময় করছে এবং তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাদের আবারও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত নির্বাচন হবে সেটা নিশ্চিত।

এসময় তিনি আরও বলেছিলেন, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।