জুলাই হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে জাবি প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলো জাকসু নেতৃবৃন্দ
- Author, জাবি প্রতিনিধি
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়েছে জাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদের নেতারা। গত বছরের জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার না হওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনে উপস্থিত হয়ে একযোগে ভবনের ৩ টা প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় জাকসু নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত জাকসু নেতৃবৃন্দ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাধিকবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিচার শেষের সময়সীমা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিচার শেষ হলেও অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তদন্ত ও বিচার এগোয়নি।
জাকসু’র কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ আলী চিশতী বলেন, “জুলাইয়ের মদদদাতা শিক্ষকদের বিচার ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় দাবি। কিন্তু একই এভিডেন্সে শিক্ষার্থীদের বিচার করা গেলেও রহস্যজনক কারণে শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন। আমাদেরকে বারবার আশ্বাস দিয়ে শুধু সময় নষ্ট করা হচ্ছে। আজকের ওসমান হাদী ভাইয়ের ওপর হামলা যেন জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর গুলি চালানোর সামিল।”
জাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আজ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং প্রশাসনের গড়িমসির ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ভেতর থেকেই আওয়ামী দোসর চক্র বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করছে। যতদিন পর্যন্ত জাবির আওয়ামী দোসর শিক্ষকদের বিচার না হবে, ততদিন রেজিস্ট্রার বিল্ডিং বন্ধ থাকবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের বিচার সম্পন্ন করেছি। ৫৪ বছরের জঞ্জাল সরানোর জন্য নিরন্তর কাজ করছি। ১৯ জন শিক্ষককে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে এবং ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকালও শিক্ষক বিচার সংক্রান্ত কাজে দিনভর বৈঠক হয়েছে। দ্রুতই বিচার সম্পন্ন হবে।”
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।