মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার বার্তায় বলেন, "অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শ্রীভূমি পুলিশ আজ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে এবং তাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "ভারতের সীমান্ত সুরক্ষায় আসাম পুলিশ সর্বক্ষণ সতর্কাবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে।"

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন আঁখি, মিষ্টি খাতুন, ইব্রাহিম শেখ, মোহাম্মদ ইয়াকুব, রেশমা বেগম এবং লিপি খান। আসামে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই আটক ও প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং আসাম পুলিশ যৌথভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।"

ভারতের হালনাগাদ জাতীয় নাগরিকত্ব আইন (এনআরসি) এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের পর থেকে রাজ্য সরকার অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিতকরণ এবং প্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। এই রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ১,৮৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

আসাম সরকারের সূত্র জানায়, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। আসাম সরকারের এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো, অবৈধ অভিবাসন রোধ করে রাজ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

সূত্র: দ্য স্টেটসম্যান।