জকসু প্রার্থীতা বাতিলের কারণ প্রকাশ করার দাবি ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের
- Author, মাহমুদুল হাসান মামুন, জবি প্রতিনিধি
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে তাদের প্রার্থীদের কেন বাদ দেওয়া হয়েছে তা জানেন না জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেল।" একইসাথে প্রার্থীতা বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ ও ব্যাখ্যাসহ পূনর্বহালের দাবি জানিয়েছে তারা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ ও দাবি তোলেন শাখা ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন প্যানেলের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে কোনো সুস্পষ্ট কারণ বা লিখিত ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের প্যানেলের দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, যা পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তিনি আরো বলেন,অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নও বাতিল করা হলেও, এসব সিদ্ধান্তের পেছনে কমিশন কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা প্রদান করেনি, কারা অভিযোগ দিয়েছে, কি অভিযোগ তার কোনো কিছুই বলছে না কমিশন। যা মোটেও সহ্য করার মতো না।
ফয়সাল মুরাদ বলেন, এ ধরনের একতরফা ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত জকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছে এবং শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। অবিলম্বে বাতিল হওয়া মনোনয়নের সুনির্দিষ্ট কারণ প্রকাশের পাশাপাশি শাহীন মিয়া ও ইমরান হোসেনের প্রার্থীতা পুনর্বহালের দাবি জানান তিনি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের প্যানেলকে ভয় পেয়ে মানসিক ট্রমার মধ্যে ফেলার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করা তাদের প্রার্থীদের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর ৩৪ পদের বিপরীতে ৩১২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে ২৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই–বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপটেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়।যেখানে ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদে ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। একইসাথে প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে ৪২ জন প্রার্থী। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ, ১৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রচারণা, ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও ভোটগণনা এবং ৩০ বা ৩১ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।