ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার, ইউরোপের বিভিন্ন শহরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু প্রধান শহরে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। জার্মানির বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট, ফ্রান্সের প্যারিস, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে একত্র হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। খবর সংস্থা এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান এবং রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক ছাঁটাই, নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার, এবং শুল্কনীতি নিয়ে জনমানসের বিরক্তি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিক্ষোভ আয়োজিত হয়েছে। বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’ (Hands Off), যার অর্থ হতে পারে, ‘আমাদের নিজেদের মতো চলতে দাও’। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠী বলছে, ট্রাম্প প্রশাসন শুল্কনীতির আড়ালে তাদের কর্তৃত্ববাদী রূপায়নের চেষ্টা করছে।

ওয়াশিংটনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে জড়ো হয়েছে বেশ কিছু সংগঠনের প্রতিনিধি। নিউইয়র্কেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন অসংখ্য প্রতিবাদকারী। বিজ্ঞানী, শিল্পী, শিক্ষক, এমনকি সাধারণ গৃহিণীও এই বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ককেই নয়, খাদ্য, প্রযুক্তি এবং জ্বালানির দামকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে।

ইউরোপের বিভিন্ন শহরেও ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রায় ২০০ প্রতিবাদকারী ব্যানার হাতে জড়ো হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর একতরফা হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
 

ট্রাম্পবিরোধী এই বিক্ষোভ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মেক্সিকো এবং পর্তুগালেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে জনমানসের ক্ষোভ এবং উদ্বেগ যা একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করেছে।

এই বিক্ষোভ নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তার নীতি নিয়ে জনমানসের সঙ্কট এবং বিশ্ব রাজনীতিতে এর প্রভাব আরও গভীর হতে পারে।


সম্পর্কিত নিউজ