ঢাবি ছাত্র হত্যাকান্ডে বিক্ষোভ মিছিল, ভিসির পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার। বেশিকিছু না বলে তিনি বলেন, বিস্তারিত পরে জানানো হবে, তবে এখন পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে ঢাবি ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িতদের মাঝে।
সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে ঠিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে মন্দিরে যাওয়ার যে রাস্তাটি রয়েছে সেখানে। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার আলম সাম্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্রদের একজন এবং সেইসাথে সেখানে তিনি ঢাবি ছাত্রদল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকের ভূমিকায় ছিলেন।
হত্যার পরের দিন, বুধবার (১৪ মে), নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম ১০-১২ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে আহত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সাম্যকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সূত্রপাত ঘটে মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগা নিয়ে। সেদিন রাতে সাম্য যখন সোহরাওয়ার্দী মাঠে মুক্ত মঞ্চের পাশের মূল সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এই নিয়ে তাদের মাঝে ঝামেলার সূত্রপাত হয় এবং কথা কাটাকাটি হওয়ার ফলে সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অতিরিক্ত করা শুরু করেন। এই কথা কাটাকাটির মাঝেই সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হঠাৎ ছুরি বের করে এবং হামলা করে বসেন। হামলা করে সেই ব্যক্তি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যান। এভাবে আহত হয়ে পড়েন শাহরিয়ার সাম্য এবং দ্রুতই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তৎক্ষণাৎ ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
ঢামেকের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, "কয়েকজন সহপাঠী রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। জানা গেছে, নিহতের ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে রাখা হয়েছে।"
এর আগে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালিদ মনসুর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রদল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনেও বিভিন্ন নেতাকর্মীরা এসে ভিড় জমান এবং বিক্ষোভ করেন। তারা ভিসির পদত্যাগ দাবি করে এই বলে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ এই ভিসি। তাই তারা দ্রুত পদত্যাগ চান ভিসি স্যারের।