নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের খবর প্রকাশে ২ থেকে ৭ বছরের শাস্তি!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার পক্ষ থেকে বা তার সমর্থনে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি, মুদ্রিত বা অনলাইনে প্রচারিত কোনো বক্তব্য কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ যেকোনো মাধ্যমে প্রচারণা, জনসভা, মিছিল, সংবাদ সম্মেলন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা – এসব সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
এর মানে দাঁড়ায়, আওয়ামী লীগের পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম, মিডিয়ায় উপস্থিতি কিংবা বক্তব্য প্রদান—সবই এখন আইনত নিষিদ্ধ।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার মতে, অধ্যাদেশে ‘সত্তা’ শব্দটি ব্যবহৃত হলেও সেটি মূলত সংগঠন বা রাজনৈতিক দল বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়েছে। তার ভাষায়, 'সত্তা' শব্দটির ইংরেজি হলো ‘entity’, যা একটি রাজনৈতিক দলকেও নির্দেশ করে। যদিও পূর্ববর্তী আইনে দলীয় কার্যালয় বন্ধ বা সম্পদ জব্দ করার মতো বিষয় ছিল, তবুও সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার নির্দেশনা স্পষ্টভাবে ছিল না। তবে নতুন এই অধ্যাদেশে তা সুস্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন যেহেতু দলটির সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার মানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কিংবা তাদের সমর্থনে প্রকাশিত কোনো সংবাদ, বক্তব্য বা প্রচারণা গণমাধ্যমে প্রচারযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে শাস্তির দিকটি ব্যাখ্যা করে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ৯-এর (৩) উপধারায় পূর্বেই নিষিদ্ধ সত্তার পক্ষে সংবাদ প্রচারকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে সংশোধিত আইনটিতে বিষয়টি আরও কঠোরভাবে বলা হয়েছে। এই অপরাধে সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।