রাজনৈতিক কারণেই কী সাম্যকে হত্যা?

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল কর্মী সাম্যের হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। আজ, ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেছেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “সাম্যকে হত্যার পেছনে কী কারণ ছিল, কী অন্যায় করেছিল সাম্য? পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন তিনজনকে, তারা ভবঘুরে। আমার তো মনে হয় এর মধ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে। রাজনৈতিক কারণ না থাকলে সাম্যের মতো একজনকে কে হত্যা করবে? ভবঘুরেরা তাকে কেন হত্যা করবে?”
সাম্য হত্যার ঘটনায় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমি পুলিশ বিভাগকে বলব, ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন। মানুষ কিন্তু সব বিষয় সহজভাবে নেয় না। মানুষ সহজভাবে নিত যদি, সবসময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু সেটা তারা নেয়নি। যেমন আবরার হত্যাকাণ্ডে নেয়নি, তেমনি আরও ঘটনার বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়নি।”
এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির রাজনৈতিক দর্শন নিয়েও কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “কালকে (বুধবার) ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে গেছে ছাত্রদলের নেতারা। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মারা গেছে। আপনি বিরক্ত হয়েছেন, ক্ষুব্ধ হয়েছেন, আপনি তুই-তোকারি করেছেন ছাত্রনেতাদেরকে। আপনি শুনতে চান না। কারণ, সাম্য ছাত্রদল করে। আপনার রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শন কী, সেটা আমরা ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছি। যারা জাতীয়তাবাদের পক্ষে ওখানে (ঢাবি) রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে ছাত্রসংগঠন করে, সেটা আপনি পছন্দ করেন না। আপনার উচিত ছিল প্রথমে সেই লাশ দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। ভাইস চ্যান্সেলররা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিশেষ দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে নেমে যান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনোই শান্তি বয়ে আনবে না।”
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন— আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্যসচিব মকছেদুল মোমিন মিমুন, সাবেক ছাত্রনেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদ আওয়ালসহ উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
প্রসঙ্গত, ১৪ মে (বুধবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের আঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী সাম্য। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। সেই সঙ্গে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টরের অপসারণও দাবি করছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।