ত্বক আর ঠোঁটের যত্নে বিটরুট

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ত্বক আর ঠোঁটের সৌন্দর্য নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করি-যার বেশিরভাগই রাসায়নিকে ঠাসা। তবে প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলো শুধু নিরাপদই নয়, কার্যকারিতায়ও অবিশ্বাস্য। তারই একটি হলো-বিটরুট বা বিট। এই লালচে রঙের সবজিটি শুধু খাবারের পাতে নয়, জায়গা করে নিচ্ছে বিউটি রুটিনেও। কিন্তু কীভাবে?
ত্বকের গভীর যত্নে বিটরুট -
বিটরুটে আছে betalain, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের কোষে জমে থাকা টক্সিন দূর করে এবং কোষকে রিফ্রেশ করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
বিটরুটে থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যার প্রভাবে মুখে আসে প্রাকৃতিক লালাভ আভা। এছাড়া বিটরুটের anti-inflammatory বৈশিষ্ট্য একনে বা চর্মরোগ প্রশমনে সহায়ক।
ঠোঁটের প্রাকৃতিক গোলাপি ছোঁয়া
শুষ্ক, ফাটা বা বিবর্ণ ঠোঁট-সব সমস্যার সহজ একটি সমাধান হতে পারে বিটরুট। বিটের রস ঠোঁটে ব্যবহার করলে তা প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁটকে গোলাপি করতে সহায়তা করে। এর রঞ্জক উপাদান ঠোঁটে অস্থায়ীভাবে হালকা রঙ এনে দেয়, আবার এতে থাকা প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ঠোঁটকে নরম রাখে।
একটি সাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতি হলো-বিটরুটের রস নারকেল তেল বা মোমের সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগানো। এটি একটি প্রাকৃতিক টিন্ট বা লিপবাম হিসেবেও কাজ করে।
বিটরুট ব্যবহার করবেন কীভাবে?
⇨ ফেসপ্যাক হিসেবে: কাঁচা বিট পেস্ট করে সামান্য দই বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান।
⇨ লিপটিন্ট হিসেবে: বিটরুটের রসের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।
⇨ জুস বা স্মুদি: বিটরুট খেলে ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ -
বিটরুটে থাকা nitrate এবং phenolic compounds শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক, যা ত্বকের কোষে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক হয় আরও উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর।
সতর্কতা -
যদিও বিটরুট প্রাকৃতিক, তবে কারও যদি অ্যালার্জি বা সংবেদনশীল ত্বক থাকে, তবে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করা জরুরি। প্রতিটি ত্বক ভিন্ন, তাই নিয়মিত ব্যবহারে ধৈর্য ধরাই মূল চাবিকাঠি।
সৌন্দর্য শুধু বাইরের সাজ নয়, বরং প্রাকৃতিক যত্নের মধ্যেই লুকিয়ে আছে স্থায়ী সমাধান। বিটরুট হতে পারে সেই ঘরোয়া যোদ্ধা—যে আপনার ত্বক ও ঠোঁটকে ফিরিয়ে দিতে পারে হারানো উজ্জ্বলতা, আর সেটাও একেবারে নিরাপদে ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে।