সয়াবিন তেলের দামে স্থিরতা, ভোক্তাদের জন্য সুখবর!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ, উৎপাদনকারীরা চাপে প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়েছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলেও চাপের মুখে তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই আপাতত দাম বাড়ানো হচ্ছে না। অন্যদিকে, বাজারে এখনও তেলের সংকট বিদ্যমান। এ অবস্থায় রমজান মাসে বাজার মনিটরিং বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব।
বর্তমানে বাজারে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি দামও রয়েছে চড়া। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম আড়াই শতাংশ বেড়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চাহিদার তুলনায় তেলের সরবরাহ কম হচ্ছে। অনেকেই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন। এক বিক্রেতা বলেন, ‘কোম্পানি পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না। ডিলারদের সমস্যা নেই। তারা দুই-এক কার্টন তেল পাচ্ছে, কিন্তু সেটাও পেতে পোলাওয়ের চাল বা সরিষার তেল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এরপরই মাত্র ৫ লিটার সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে।’
গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরও বাজারে তেলের সংকট কমেনি। বরং উৎপাদনকারীরা এ মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুবার দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে সাড়া না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি তারা তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে নেন।
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম বলেন, ‘আমরা আপাতত দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছি।’
তবে ক্যাব সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রমজান মাসে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সতর্ক থাকতে হবে। সংগঠনটির সহ-সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে ভোক্তাদের যদি স্বস্তি দেওয়া হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস অনেকাংশে বাড়বে।’
উল্লেখ্য, সয়াবিন ও পাম তেল মিলিয়ে দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লাখ টনের বেশি। বর্তমান সংকট ও দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভোক্তাদের পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকতে হচ্ছে।