আকস্মিক বন্যায় চলনবিলে ডুবে গেছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার চলনবিল এলাকায় আকস্মিক বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির ধান। টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকা ও আধাপাকা ধান ডুবে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজারো কৃষক।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধানের ফলন ছিল সন্তোষজনক। তবে হঠাৎ পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি ডুবে গেছে। অনেক কৃষক এখনও পানি ঠেলে ধান কাটার চেষ্টা করছেন। এতে শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়ছে।
তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, "১০ বিঘা জমির মধ্যে মাত্র ৫ বিঘার ধান কেটেছি। বাকি জমির ধান পানির নিচে। মজুরি ৭-৮ হাজার টাকা হলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এবার লোকসান হবেই।"
আরেক কৃষক আশরাফ বলেন, “ঋণ করে চাষ করেছিলাম। কিন্তু সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন কাটতেও পারছি না। পুরো পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “চলনবিল এলাকায় প্রায় ৯৩% ধান কাটা শেষ হলেও হঠাৎ পানির কারণে কিছু নিচু এলাকার ধান কাটা ব্যাহত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ধান কাটা শেষ করার চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।”
স্থানীয় কৃষকদের তথ্যমতে, শুধু তাড়াশ ও শাহজাদপুরেই প্রায় ১১৩ হেক্টর ফসল পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাটোরের সিংড়া ও গুরুদাসপুরেও অনুরূপ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এই দুর্যোগে সরকারের সহায়তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপই হতে পারে কৃষকদের জন্য একমাত্র ভরসা।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।