সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা সরকার পতনের সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে ৩ আগস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন, যেখানে নিরাপত্তাবিষয়ক জাতীয় কমিটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশজুড়ে চলমান ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের পরিস্থিতি তুলে ধরেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিরা।

ওই বৈঠকে শেখ হাসিনাকে দেশের চলমান উত্তেজনা এবং জনগণের ক্ষোভ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করা হয়। একইসঙ্গে, পরিস্থিতি শান্ত করতে পদত্যাগের পরামর্শও পরোক্ষভাবে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।

বৈঠকের পরপরই, শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ পরিবার সদস্যদের সঙ্গে আলাদাভাবে পরামর্শ করেন এবং তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেন। এরপর শেখ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন।

ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের ঘটনা ঘটে, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।