কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি?

‘তারা’র উদ্ভাবিত প্রযুক্তির নাম লাইট ব্রিজ। এতে একদিকে থাকে শক্তিশালী লেজার প্রজেক্টর, আর অন্যদিকে রিসিভার। লেজারের মাধ্যমে সরাসরি নির্দিষ্ট গন্তব্যে ডেটা পাঠানো হয়, ফলে ভূগর্ভস্থ তার কিংবা স্যাটেলাইটের প্রয়োজনীয়তা আর থাকে না।


গতির দিক দিয়ে কতটা এগিয়ে?

‘তারা’র দাবি অনুযায়ী, তাদের প্রযুক্তি স্টারলিংকের চেয়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত দ্রুত। প্রতি সেকেন্ডে ২০ গিগাবিট ডেটা আদান-প্রদানে সক্ষম এই প্রযুক্তি ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। এটি এক নতুন প্রযুক্তিগত বিপ্লবের ইঙ্গিত।


প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠেছে তারা

লেজার প্রযুক্তি সাধারণত কুয়াশা, বৃষ্টি বা পাখির চলাচলে দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ‘তারা’ এতে ব্যবহার করেছে অটো-অ্যালাইনমেন্ট সিস্টেম, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেজারের দিক ঠিক করে স্থিতিশীল সংযোগ নিশ্চিত করে।


বাস্তব প্রয়োগে সফল

ইতোমধ্যে বিশ্বের ১২টি দেশে এই প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে কঙ্গো নদীর দুই পাশে অবস্থিত দুই রাজধানী—ব্রাজাভিল ও কিনশাসার মধ্যে লাইট ব্রিজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৯৯.৯৯% আপটাইমসহ ৭০০ টেরাবাইট ডেটা ট্রান্সফার করা হয়েছে।


আসছে ফোনোটিক্স চিপ

২০২৬ সালে তারা বাজারে আনছে ‘ফোনোটিক্স চিপ’, যা ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় যানবাহন এবং IoT ডিভাইসেও ব্যবহৃত হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা জরুরি পরিস্থিতিতে এটি ফাইবার নেটওয়ার্কের বিকল্প হিসেবেও কাজ করতে পারবে।