নাসির উদ্দীন বলেন, “বৈঠকটি একটি নির্দিষ্ট দলকে খুশি করার প্রয়াস মাত্র। এতে জনগণের প্রত্যাশা, বিচার সংস্কার কিংবা ‘জুলাই সনদ’ সংক্রান্ত কোনো বার্তা ছিল না। এ ধরনের বৈঠক জনআন্দোলনের চেতনাকে বিভ্রান্ত করে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বিদেশে বসে নেয়া হলে তা দেশের জনগণের প্রতি অবিচার। দেশের জনগণ এসব সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে না।” তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “সরকার যদি দেশের অগ্রগতিতে ব্যর্থ হয়, তবে এনসিপি দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থানের পথ বেছে নিতে পারে।”

এদিনের অপর এক ব্রিফিংয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আদিব নির্বাচন প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন।

আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, “জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে সব স্টেকহোল্ডার, রাজনৈতিক দল এবং শহিদ পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা জরুরি। একটি দল বা একক কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলে তা জাতির জন্য অশনিসংকেত।”

সারোয়ার তুষার বলেন, “কীভাবে কাঠামোগত সংস্কার হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এর আগেই গণভোটের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা জনমতের প্রতি অসম্মান। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন আছে, যা সংস্কারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।”

এনসিপির পক্ষ থেকে বারবারই দেশে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।