ইরানের পাশে রাশিয়া, ইসরায়েলকে কড়া বার্তা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা। ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক কমান্ড সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’।
ঘটনার পরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো একে "উসকানিমূলক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন" বলে আখ্যায়িত করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে নিরপরাধ মানুষের উপর হামলা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও মানবতার জন্য হুমকি।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা দপ্তরসহ গোপনচর সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং বাস্তব তথ্য সংগ্রহ করছেন।
রাশিয়া বলেছে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াবে এবং ইরানকে ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগকে ব্যাহত করবে। বিশেষ করে ওয়াশিংটন ও মস্কোর যৌথ প্রচেষ্টায় পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে স্বচ্ছতা আনার আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ইরান ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে ২০ বছর মেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে মস্কো চায় না এই অঞ্চলে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হোক।
এদিকে, ইসরায়েলি এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, এই অভিযানের অংশ হিসেবে মোসাদ তেহরানের কাছাকাছি একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। সেখান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, যাতে ইরানের পাল্টা জবাবদানের সক্ষমতা হ্রাস পায়।
ফার্স নিউজের বরাতে জানা গেছে, হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত ও ৩২৯ জন আহত হয়েছেন। বাস্তব চিত্রে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সৌদি আরব, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ এ ঘটনার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া ও আন্তর্জাতিক মহল কূটনৈতিক পথে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে এবং ১৫ জুন ওমানে নতুন করে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনাও উত্থাপিত হয়েছে।