বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস জানায়, এই অর্থায়ন ব্যবহৃত হবে ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের গ্রামীণ এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ, পুনর্বাসন, জীবিকা রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদারে।

এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভার, ইমারজেন্সি প্রিপারিডনেস এন্ড রেসপন্স (B-STRONG)’। এর মাধ্যমে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কি থাকছে প্রকল্পে?

৭৯টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন

জলবায়ু সহনশীল রাস্তা ও সেতু নির্মাণ

বন্যা প্রতিরোধ বাঁধ ও অবকাঠামো উন্নয়ন

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার

স্থানীয়দের জন্য নৌকা, সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা


বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রস্তুতি ও অভিযোজনে অগ্রণী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই প্রকল্প দেশটির জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

জীবিকা ও কৃষি উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব
প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ অস্থায়ী কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। অন্তত ৬৫ হাজার কৃষি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে উন্নত ফসল প্রযুক্তি, কৃষিযন্ত্র, সেচ সুবিধা ও মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহের মাধ্যমে। এছাড়া, নারী কৃষকদের উৎসাহিত করতে বসতবাড়ি ও কমিউনিটি বাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ স্বর্ণা কাজী বলেন, “এই প্রকল্প শুধু অবকাঠামো নয়, বরং পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা তৈরির একটি সমন্বিত পথনকশা। দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি থেকে শুরু করে আয়ের উৎস তৈরি পর্যন্ত ব্যাপক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকছে এতে।”

বিশ্বব্যাংক আশা করছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির মান উন্নত হবে এবং ভবিষ্যতের দুর্যোগে প্রতিরোধ গড়ে উঠবে