জি৭ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা: গাড়ি ও অ্যারোস্পেসে নতুন অধ্যায়

জি৭ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা: গাড়ি ও অ্যারোস্পেসে নতুন অধ্যায়
  • Author, ডেস্ক রিপোর্ট | জি৭ সম্মেলন, কানাডা
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

জি৭ সম্মেলনে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো বহু প্রতীক্ষিত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তি। কানাডায় একত্রে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমরা সই করেছি এবং এটি সম্পন্ন হয়েছে।”

র‍য়টার্সের এক খবরের মাধ্যমে জানা যায়, চুক্তি ঘোষণার সময় ট্রাম্প নাটকীয়ভাবে স্বাক্ষরিত নথি দেখাতে গিয়ে তা ফেলে দেন। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার অবশ্য ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সামলে নেন এবং ন্থি তুলে নেন। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার জানান, চুক্তিটি গাড়ি শুল্ক ও অ্যারোস্পেস খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যদিও বিস্তারিত শর্তাবলি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। 

উভয় নেতা এই চুক্তিকে ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্কের একটি “নতুন অধ্যায়” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প বলেন, “আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি সই করেছি এবং এটি অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি একটি ন্যায্য চুক্তি যা দুই দেশেই কর্মসংস্থান ও আয় বাড়াবে। আমাদের আরও অনেক চুক্তি আসছে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “সম্পর্কটা অসাধারণ। আমি কেবল অভিনন্দন জানাতে চাই।” এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “গাড়ির শুল্ক ও অ্যারোস্পেস খাতে এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এখন কার্যকর হচ্ছে। এটি আমাদের দুই দেশের জন্য একটি দুর্দান্ত দিন, এবং প্রকৃতপক্ষে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রতীক।”

এদিকে, কানাডার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, "আসলে তেমন কোনো জটিলতা নেই। আমি শুল্ক-ভিত্তিক ধারণায় বিশ্বাসী, মার্ক (কানাডার প্রধানমন্ত্রী) ভিন্ন একটি ধারণা পোষণ করেন। আমরা দুটি দৃষ্টিভঙ্গিই পর্যালোচনা করব এবং সম্ভব হলে একটি সমাধানে পৌঁছাবো।"

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তিটি নিয়ে এখনও অনেক বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। যদিও এই চুক্তি ঘোষণাকে বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক সাফল্য ও ব্রিটেনের ব্রেক্সিট-পরবর্তী কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন।

সূত্রঃ রয়টার্স


সম্পর্কিত নিউজ