বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মেইর মাসরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ এই মন্তব্য করেন। তিনি উর্দু ও আরবি ভাষায় দেওয়া পোস্টে বলেন, "পাকিস্তান ইরান থেকে খুব দূরে নয়, আপনার উপলব্ধিই যথেষ্ট।"

যদিও মাসরি বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই, তবে ইসরায়েলের কৌশলগত মহলে তার প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি লেবার পার্টির উচ্চপর্যায়ের একজন নীতি-নির্ধারক হিসেবেই পরিচিত।

মেইর মাসরির মন্তব্য সামনে আসার পরপরই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেক পাকিস্তানি নাগরিক ও বিশ্লেষক এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "পাকিস্তান একটি আত্মনির্ভরশীল পরমাণু শক্তি। এমন হুমকি আমাদের জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করবে।"

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন সময় এই ধরনের বক্তব্য ইসরায়েলি রাজনীতিকদের পক্ষ থেকে আসা দুঃখজনক, যখন মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে। ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে পাকিস্তানকে টেনে আনার চেষ্টা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য আরও হুমকিস্বরূপ।

এর আগেই গত সোমবার পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েল যেন পাকিস্তানের দিকে চোখ তুলে না তাকায়। পাকিস্তান সম্পূর্ণ সতর্ক ও যেকোনো আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত।”

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাসতে থাকা কিছু গুজবেও দাবি করা হচ্ছিল, পাকিস্তান ইরানে হামলার জবাবে ইসরায়েলকে পারমাণবিক প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। তবে পাকিস্তান সরকার এ ধরনের গুজবকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার এই পর্যায়ে দায়িত্বশীল আচরণ ও কূটনৈতিক সংযমের কোনো বিকল্প নেই। যুদ্ধোন্মাদ বক্তব্য বা হুমকি-ধামকি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।