৮৩% ইসরায়েলি ইরানের উপর হামলাকে সমর্থন করছে: জরিপ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হিফুর আবারও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ২৯ তলা বিশিষ্ট বিক্রয় টাওয়ার ও একটি জেলা সরকারী সেবা কেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়েছে। হাইফা শহর ইরানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, শুক্রবার দুটি সংবেদনশীল স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ফলে ইসরায়েল জুড়ে সাইরেন বাজতে শোনা গেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিধ্বস্ত হওয়া ওয়াইজম্যান সায়েন্টিফিক ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন। ধারণা করা হয়, ৪৫টি গবেষণাগার ধ্বংস করা হয়েছিল। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, মার্কিন সমর্থন থাকুক বা না থাকুক, যতদিন তারা (ইরান) বন্ধ না করবে ততদিন যুদ্ধ চলবে। নেতানিয়াহু আরও বলেন, আমি যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি তা হল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করা এবং আমরা তা ধ্বংস করতে সক্ষম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বিশ্বের একজন মহান নেতা, ইসরায়েলের একজন মহান বন্ধু। সে আমেরিকার জন্য যা ভালো তা করার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা ইসরায়েলের জন্য যা ভালো তাই করি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, অন্তত একটিতে ক্লাস্টার বোমা ছিলো। এগুলো লক্ষ্যবস্তুর উপরে বাতাসে বিস্ফোরিত হয় এবং ৮ কিমি ব্যাসার্ধে ছোট ছোট ক্ষেপণাস্ত্র ছড়িয়ে দেয়। বিদেশে আটকে থাকা ইসরায়েলিরা জাহাজ ও আকাশপথে দেশে ফিরতে শুরু করেছে। ইরানের উপর হামলার প্রতি সমর্থন এখানো জোরালো রয়েছে। আল জাজিরায় প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ৮৩% ইহুদি ইসরায়েলি তাদের সরকারের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে ইসরায়েল ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির কার্যক্রম বন্ধ আছে। পণ্য সরবরহকারী প্রতিষ্ঠান ফেডেক্স তাদের কার্যক্রমও বন্দ রেখেছে। এর মধ্যেই জেনারেল স্টাফের প্রধান ইসরায়েলিদের দীর্ঘ অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন।