শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসনের একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (২২ জুন) থেকে রাজধানীজুড়ে ‘ঢাকা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হবে, যদি প্রশাসন তাদের দাবি না মানে।

দীর্ঘ যানজট, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

সকাল থেকেই নতুনবাজার, রামপুরা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকাজুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। কর্মস্থলগামী মানুষসহ সাধারণ যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

বাড্ডা থেকে উত্তরা যাওয়ার পথে বাঁশতলায় আটকে পড়েন মোহাম্মদ আমিনুর রহমান। স্ত্রী ও সন্তানসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হয়ে এখন বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

একইভাবে ভোগান্তির শিকার রফিকুল ইসলাম বলেন, “সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় গাড়ি নেই, গরমে হেঁটে হেঁটে যেতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন, বুঝি। কিন্তু এতে সাধারণ মানুষ যে কত কষ্টে পড়ে, সেটা যেন কেউ বোঝে না।”

পুলিশ বলছে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে

ভাটারা থানার ওসি মো. রাকিবুল হাসান জানান, “আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কাজ করছি। আন্দোলনটি বর্তমানে থানার সামনেই চলছে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”

অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং কিছু নির্দিষ্ট গ্রুপকে সুবিধা দিতে চায়। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শিক্ষার্থীদের ঘোষণা: দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবেই

শিক্ষার্থীরা জানায়, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। বহিষ্কার প্রত্যাহার, প্রশাসনের জবাবদিহি এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু হটব না। কাল থেকে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।”