শনিবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এই সহায়তা অনুমোদন করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই অর্থ খরচ করা হবে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগে। এর মধ্যে রয়েছে করনীতিতে স্বচ্ছতা আনা, সরকারি রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি উন্নয়ন, ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং সরকারি সেবায় ই-প্রকিউরমেন্ট চালুর মতো পদক্ষেপ।

বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী আর্থিক কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। এই সহায়তা দেশের নীতিমালা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

এই অর্থায়নের আওতায় বিশেষ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, যেমন:

কর অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহির মধ্যে আনা

আন্তর্জাতিক মান অনুসারে ব্যাংকিং খাতে আর্থিক প্রতিবেদন ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

২০২৭ সালের মধ্যে সরকারি প্রকল্প মূল্যায়নের প্রতিবেদন জনগণের সামনে উন্মুক্ত করা

সরকারি কেনাকাটায় ই-জিপি বাধ্যতামূলক করা এবং দরপত্র প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা বাড়ানো

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা জানিয়েছেন, এই অর্থায়ন সরকারের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতাকে বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্যোগ বা অর্থনৈতিক সংকটে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিতে সহায়ক হবে।

এই সহায়তা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।