নাদের আরও বলেন, ইসরায়েলও একই রকমভাবে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। চলমান গাজা যুদ্ধ দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নজিরবিহীন বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এটি অতীতের যেকোনো সংঘাতের চেয়ে ভিন্ন এবং বেশি ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে।

বিশ্বের তেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চোক পয়েন্ট হরমুজ প্রণালী নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাবিবি। এই পথ দিয়ে বিশ্বের প্রায় ২০% তেল সরবরাহ হয়। যদি ইরান এটি দীর্ঘমেয়াদে অবরোধ করে, তাহলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। তবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতোমধ্যে বিকল্প পাইপলাইন তৈরি করেছে, যা দিয়ে তারা আংশিকভাবে রপ্তানি চালাতে পারবে।

হাবিবি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। ফলে ইরান এই মুহূর্তে এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইবে না যা সৌদি বা উপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ শুরু করে কিংবা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে, তাহলে পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।