পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে ইরানঃ দ্বায়ী মার্কিন-ইসরায়েলি হামলা

পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে ইরানঃ দ্বায়ী মার্কিন-ইসরায়েলি হামলা
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সামরিক হামলার প্রেক্ষিতে ইরান হয়তো নতুন কৌশল হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে হাঁটতে পারে। এমন আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের বিশিষ্ট কূটনৈতিক ফেলো অ্যালান, যিনি ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তির (JCPOA) প্রধান মার্কিন আলোচক দলের সদস্য ছিলেন, তিনি মনে করেন, ইরান বর্তমানে নিজেদের কৌশলগত দুর্বলতার কারণে 'আত্মসমর্পণ' নয়, বরং শক্ত প্রতিরোধের পথেই অগ্রসর হতে পারে।

ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু মার্কিন পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া গোপন প্রতিবেদন বলছে ভিন্ন কথা। পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া প্রতিবেদন অনুসারে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়াই বহাল তবিয়তে আছে।   বাস্তবতা হলো, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে 'বিশ্বাস নয়, যাচাই' নীতিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল এই চুক্তিকে শুরু থেকেই সন্দেহের চোখে দেখে আসছে। তারা ভবিষ্যতেও যে কোনো সম্ভাব্য সমঝোতা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। যুদ্ধবিরতির মাঝেও ইসরায়েল এ অঞ্চলে পরবর্তী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (NPT) ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।

এই সামরিক হামলার ফলে যদি ইরান প্রকৃতপক্ষে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের দিকে ধাবিত হয়, তবে তা হবে এই হামলার সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। মার্কিন গোয়েন্দা মহলের একাংশ ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই হামলাগুলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের পথে ঠেলে দিতে পারে। এখন ইরান কৌশলগত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইবে এবং পারমাণবিক অস্ত্রই যদি তাদের একমাত্র বিকল্প হয়, তবে তারা সেই পথেই এগোবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 


সম্পর্কিত নিউজ