তিনি বলেন, “প্রতারণামূলক জায়নবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এই বিজয়ের জন্য ইরানের জনগণকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমাদের সাহসিকতা, ঐক্য ও আত্মত্যাগ এ বিজয় নিশ্চিত করেছে।”

গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হয় সরাসরি সংঘাত। ইসরায়েল অভিযোগ তোলে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এরপর ইসরায়েলি বিমান বাহিনী তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালায়। ইরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে।

এরইমধ্যে ২২ জুন মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। ইসরায়েলের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় চালানো হয় ভয়াবহ বিমান হামলা, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’। মার্কিন সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।

ইরান তাৎক্ষণিকভাবে এই যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এক বিবৃতিতে জানান, ইরান শান্তি চায় এবং ইসরায়েল নতুন করে হামলা না করলে তেহরান আর সামরিক প্রতিক্রিয়ায় যাবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনির এই ‘বিজয়ের ঘোষণা’ ইরানিরা মনোবল বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে নিচ্ছেন, তবে বাস্তব রাজনৈতিক পরিণতির দিকটি এখনো অস্পষ্ট।