খনিজ সম্পদের রাজনীতি ও শান্তি চুক্তিতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো) ও রুয়ান্ডা এক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি লক্ষ্য পূর্ব কঙ্গোতে তিন দশক ধরে চলা সহিংসতা বন্ধ করা। এই চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী ছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চুক্তির পেছনে যেমন রয়েছে মানবিক সংকট নিরসনের উদ্যোগ, তেমনি রয়েছে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ। পূর্ব কঙ্গোতে রয়েছে প্রচুর স্বর্ণ, কোল্টান, কোবাল্টসহ দামী খনিজ সম্পদ যা বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে কোল্টান ব্যবহৃত হয় স্মার্টফোন, সোলার প্যানেল, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা ফার্মে।
প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি ট্রাম্প প্রশাসনকে চুক্তিতে রাজি করান এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য খনিজ খাতে বিনিয়োগ সহজ করা হবে। ইতোমধ্যে ট্রাম্পের একজন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এম-২৩ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন রুবায়া কোল্টান খনির প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
চুক্তির আওতায় রয়েছে:
• এম২৩ ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণ
• উভয় দেশের আঞ্চলিক অধিকার রক্ষা
• মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি
• লাখো বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন
• উদ্বাস্তুর নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন
এই চুক্তির বাস্তবায়নে সহায়তা করবে জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষায় কাজ করে যাবে।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, যতক্ষণ না সহিংসতা পুরোপুরি থামে, ততক্ষণ কঙ্গো ও রুয়ান্ডার জনগণের জন্য প্রকৃত শান্তি ও সমৃদ্ধি অধরা থাকবে।